মানুষটিকে পেয়ে দারুনভাবে উল্লসিত হয়ে উঠল রোবটেরা। কতটা যন্ত্রণা দিয়ে তাকে হত্যা করা যায় সেটা নিয়ে দ্বিমত হওয়ায় নিজেদের মধ্যে মরামারিও করল রোবটগুলো। অবশেষে নৃশংসভাবে হত্যা করল মানুষটিকে।
এখন শুধু নিস্তেজ দেহটা পড়ে আছে মাটিতে। মানুষটির মৃত্যু নিশ্চিত করতে রোবটেরা শরীর থেকে মাথাটা সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলেছে। একটা পা-ও বিচ্ছিন্ন করেছে দেহের নিচের অংশ থেকে। পেটের নাড়িভূড়ি বের করে হৃদপিন্ডটাকে শরীর থেকে দুই ফুট দূরে ছুড়ে ফেলেছে। মস্তিষ্কটাা পায়ের নিচে ফেলে থেতলে দিয়েছে। এমন কী বিচ্ছিন্ন মাথার চোখ দুটো তুলে নিতেও দ্বিধা করেনি তারা। সবকিছু মিলিয়ে সত্যি এক বিভিৎস দৃশ্য!
পৃথিবীতে এখন একটা বিষয় স্পষ্ট, মানুষের জন্য রোবটদের প্রোগ্রামে এতটুকু দয়া-মায়া, শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নেই। কারণ পৃথিবী এখন রোবটদের দখলে। মানুষের পৃথিবী এখন রোবটদের পৃথিবী। রোবটেরাই এখন পৃথিবীর হর্তা-কর্তা, তারাই নিয়ন্ত্রক। তারা আজ মানুষের উপর প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত। তাই তো যে যেভাবে পারছে হত্যা করছে মানুষকে। পৃথিবীতে এখন আর মানুষ দেখা যায় না। যে দু’একজন বেঁচে আছে তাদের খুঁজে বের করে হত্যা করতেও সময় লাগবে না।
তাহলে কী পৃথিবী থেক বিলুপ্ত হয়ে যাবে মানুষেরা?