মেয়েটির নাম জিনিয়া। দেখতে অপূর্ব সুন্দর। সাদা শাড়ীতে আরও সুন্দর লাগে দেখতে। যে কেউ প্রথম দর্শনেই পছন্দ করবে জিনিয়াকে। পাভেলও মুগ্ধ ছিল জিনিয়ার সৌন্দর্যে। তবে জিনিয়ার যে রূপ এখন সে দেখতে পাচ্ছে তা চরম ভয়ংকর আর আতংকের। একটু আগে সে জিনিয়াকে দেখেছে দারোয়ানের কাটা মাথা হাতে বাসার মধ্যে প্রবেশ করতে। তারপর রক্ত পান করেছে নীলার। এখন এগিয়ে আসছে তার দিকে। পাভেল স্পষ্ট বুঝতে পারছে জিনিয়ার হাতে তার মৃত্যু হবে, ভয়ংকর যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু। নিজের এরকম মৃত্যু হবে, ভয়ংকর যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু। নিজের এরকম মৃত্যু সে কামনা করে না। কিছুদিন ধরেই সে চেষ্টা করছিল জিনিয়ার কাছ থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু সম্ভব হয়নি। কারণ কেউ জিনিয়ার অস্তিত্বের বিষয়টা স্বীকার করতে চায়নি। তবে পাভেল বিশ্বাস করত জিনিয়া আছে। আজ জিনিয়া তার আসল রূপে আবির্ভূত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এখন হত্যা করতে চাচ্ছে তাকে। তাইতো নিজেকে বাঁচানোর জন্য যা যা করার সবকিছু করার চেষ্টা করছে সে। কিন্তু সে বুঝতে পারছে নিজেকে সে আর রক্ষা করতে পারবে না। কারণ জিনিয়া তার উপর চড়ে বসেছে। হয়তো এখনই তার বুকের মধ্যে থেকে লম্বা নখ দিয়ে তাজা কলিজাটা বের করে আনবে।