বন্ধু রাশেদের মামা বাড়িতে বেড়াতে এসে দারুন এক রহস্যের সন্ধান পায় লেলিন। মৃত এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করতে গিয়ে দেখে লাশের কোনো হাড় নেই। খোঁজ নিয়ে জানতে পারে এরকম ঘটনা আরও ঘটেছে। রহস্যের গভীরে প্রবেশ করতে গিয়ে নিজেই বুঝতে পারে না কী ভয়ংকর বেড়াজালে জড়িয়ে যাচ্ছে সে। একসময় কঙ্কাল ঘরের মধ্যে আটকা পড়ে যায় বিভীষিকাময় জীবননাশী ড্রামে। মুক্তির জন্য মরিয়া হয়ে উঠে তখন। কিন্তু কে সাহায্য করবে তাকে? শিশির যে জানে না তার অবস্থান। অবশেষে সে অনুমান করতে পারে মৃত্যু আসন্ন। কারণ ড্রামের পানি গরম হতে শুরু করেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে পানির বাস্প তার শরীরে প্রবেশ করবে। প্রথমে গলে যাবে চোখ, তারপর ঠোঁট, শেষে চামড়া আর মাংস। ভয়ংকর যন্ত্রণাময় হবে তার মৃত্যু। অবশেষে তার শরীরেও কোনো হাড় থাকবে না। কারণ মৃত্যুর পর হাড় থেকে মাংস গুলো আলাদা করবে ভয়ংকর এক চক্র। তারপর শুধু তার মাংসকে মাটি দেয়া হবে। কেউ জানতে পারবে না কী নির্মমভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। শুধু যে তার তা নয়, আরও অনেককে এভাবে মাটি দিয়েছে ভয়ংকর এই চক্র।
শেষ পর্যন্ত কী মুক্তি পেয়েছিল লেলিন? আর কী পরিণতি হয়েছিল ভয়ংকর চক্রটির?