বনখালি গ্রামে আতঙ্কের নাম কানা দস্যু। এই কানা দস্যু আজ চাঁদা চায় তো কাল কাউকে অপহরণ করে। কানা দস্যু নাম শুনতেই রক্ত ঠান্ডা হয়ে আসে গ্রামবাসীর। ভয়ে কেউ কানা দস্যুর নাম মুখে আনে না। অবাক ব্যাপার হলো কানা দস্যুকে কেউ চিনেও না। অথচ তার দাবি মতো চলতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে। কেউ অমান্য করলে তার জীবন অশান্তিময় হয়ে ওঠে। এই কানা দস্যুকে ধরতে বনখালি গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিশির আর লেলিন। গ্রামে পা রাখতে বুঝতে পারে গ্রামের জীবন স্বাভাবিক নেই। সম্পূর্ণ গ্রাম যেন এক মৃত্যুপুরী। তার উপর নেই ইলেকট্রিসিটি, মোবাইল নেটওয়ার্ক। পৃথিবীর কারো সাথেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। এমন কী, থাকার জায়গাও নেই। সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে, কানা দস্যু সম্পর্কে কেউ কোনো তথ্য দিতে চায় না। আর কীভাবে যেন কানা দস্যু সব আগে থেকেই জেনে যায়। যেমন জেনে গেছে তাদের আগমন এবং উদ্দেশ্যের কথা। তাই তো চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়, শিশিলিনের সদস্যরা যদি ফিরে না যায় তাহলে করুণ মৃত্যুবরণ করতে হবে তাদের। কিন্তু শিশির আর লেলিন নাছোড়বান্দা। তারা ধরবেই কানা দস্যুকে। কিন্তু বাস্তবতা যে বড় কঠিন! কানা দস্যুর ছায়াও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বরং তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের নাকের ডগায় একটার পর একটা অপরাধ করে যাচ্ছে কানা দস্যু। এখন তারাই বিপদগ্রস্ত, যে কোনো সময় খুন হতে পারে তারা। শেষ পর্যন্ত কী শিশিলিনের দুই ক্ষুদে গোয়েন্দা ধরতে পেরেছিল কানা দস্যুকে? নাকি তাদের করুণ মৃত্যু বরণ করতে হয়েছিল ভয়ংকর কানা দস্যুর হাতে?