স্থির নিমির ভালোলাগে না স্পেসশিপ নিউজারে। তার ইচ্ছে হয় আফ্রিকার জঙ্গলে অভিযানে যেতে রাজি হয় না লো, ডিডি আর টম। কিন্তু নিমি নাছোড়বান্দা। সে আফ্রিকার জঙ্গলে যাবেই যাবে। তাই গোপনে টাইম মেশিনে আফ্রিকার জঙ্গল পৌঁছে যায় সে। আর সেখানে গিয়ে বুঝতে পারে কত বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। ঘটনাক্রমে আটক হয়ে পড়ে ভয়ংকর জংলীদের হাতে। জংলীরা নিমিকে হত্যা করে তার মাংস ভক্ষণ করবে। এদিকে লো আর টম নিমিকে উদ্ধার করতে অভিযানে নামে। তারাও টাইম মেশিনের মাধমে পৌঁছে যায় আফ্রিকার জঙ্গলে। এখানে জীবন যে কতটা বিপদসংকুল না এলে বুঝতে পারত না। পদে পদে বিপদ। সেই বিপদ। কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত তারা পৌঁছে যায় জংলীদের গ্রামে। কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় হয় না। নিমিকে উদ্ধার করতে গিয়ে বন্দি হয়ে পড়ে লো। তার হাত। থেকে খুলে ফেলা হয় ডিজিটার। এখন চাইলেও সে আর স্পেসশিপে ফিরে আসতে পারবে না। আবার গহীন জঙ্গলে তাকে উদ্ধারেরও কেউ নেই। টম কতটুকু পারবে সন্দেহ আছে। টম অবশ্য পরিকল্পনা করেই যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা যে বড় কঠিন! জংলীদের কাছ থেকে প্রথমে উদ্ধার করতে হবে ডিজিটার, তারপর মুক্ত করতে হবে লো কে, তারপর ফিরে যেতে হবে স্পেসশিপে। কাজগুলো এত সহজ নয়, সে একা কী পারবে? নাকি শেষ পর্যন্ত সবাইকে মৃত্যুবরণ করতে হবে ভয়ংকর আফ্রিকার জঙ্গলে।