মানুষের মধ্যেকার দীর্ঘদিনের যুদ্ধ আর দ্ব›েদ্ব পৃৃথিবী আজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবী। তাইতো অভিযাত্রীরা বাসযোগ্য নতুন আর একটি গ্রহের সন্ধানে ছুটে বেড়াচ্ছে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে, মহাবিশ্বের দূর দূরান্তে। ঐ নতুন গ্রহটি হবে দ্বিতীয় পৃথিবী, যেখানে বর্তমান পৃথিবীর মানুষদের স্থানান্তর করে রক্ষা করা হবে মানব সভ্যতাকে।
এরকম অনুসন্ধান-অভিযানের এক পর্যায়ে চব্বিশ বছর বয়সী নারী অভিযাত্রী নিয়ানা এসে পড়ে লিলিলি নামের অজানা এক গ্রহে। দুর্ভাগ্যবশত লিলিলি গ্রহে অবতরণমাত্র তাকে ঘিরে ফেলে লিলিলি গ্রহের অতি বুদ্ধিমান প্রাণী হিরিরা। লিওলি নামের একটি পুরুষ হিরি তখন ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে থাকে নিয়ানার শরীরের মধ্যে। নিয়ানা অনুভব করে লিওলি তার মস্তিষ্কের সকল স্মৃতি পড়ে নিচ্ছে। একসময় হিরিরা জেনে যায় নিয়ানা মানুষের জন্য লিলিলি গ্রহ দখল করতে এসেছে। লিওলির পর তখন দিওপি নামের আর এক হিরি প্রবেশ করে নিয়ানার মস্তিষ্কে। এবার তীব্র যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠে নিয়ানা। সে অনুভব করতে থাকে ভয়ংকর ইলেকট্রিক শক্ তার শরীরে তীব্র কম্পন সৃষ্টি করে যাচ্ছে। সে বাঁচার জন্য চিৎকার করে উঠে। কিন্তু কে তাকে সাহায্য করবে নিঃসঙ্গ ঐ লিলিলি গ্রহে?
শেষ পর্যন্ত কি ঘটেছিল অভিযাত্রী নিয়ানার জীবনে? সত্যি কি পৃথিবীর মানুষ বসতি স্থাপন করতে পেরেছিল লিলিলি গ্রহে? নাকি তাদের দ্বিতীয় পৃথিবীর স্বপ্ন চিরতরে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল মহাকাশের নিকষ কালো অন্ধকারে?