নিরাপদ সমাজ সৃষ্টির অন্যতম সোপান অপরাধ প্রতিরোধে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি। একটি চলমান সমাজব্যবস্থায় অপরাধ সংঘটন হবে এটা যেমন সত্য, তেমনি এটাও সত্য যে নাগরিকদের মধে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টি অপরাধ সংঘটনের প্রবণতাকে অনেকটাই হ্রাস করবে। নিরাপত্তা হ্যান্ডবুক এর মূল উদ্দেশ্য হলো সর্বমহলে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে অপরাধীর অপরাধ করার ক্ষেত্র বা সুযোগগুলো কমিয়ে এনে অধিকতর নিরাপদ সমাজ সৃষ্টিতে সহায়তা করা।
বর্তমান যুগে আমরা সবাই কম-বেশি ব্যস্ত। এই ব্যস্ততার মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়টাকে আমরা খুব একটা গুরুত্ব দেওয়ার সুযোগ পাই না। এজন্য জীবনে অনেক সময় বড় ধরনের বিপর্যয়। নেমে আসে। অথচ একটু সতর্ক হলে এই বিপর্যয় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি। এরকমই কিছু বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে নিরাপত্তা হ্যান্ডবুকে। যেমন, ছিনতাই প্রতিরোধে আমরা কী করতে পারি, কীভাবে নিজের বাসাবাড়িকে রক্ষা করতে পারি, মোবাইল ফোন ক্রয়ের সময় আমাদের কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, দূর পথের যাত্রায় আমাদের কী পূর্ব পরিকল্পনা থাকা উচিত, বাসা ভাড়া দেওয়া কিংবা নেওয়ার সময় কী কী বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত, প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কী, কোন অপরাধের জন্য কী শাস্তি, দেশের থানার নম্বরসমূহ ইত্যাদি।
‘নিরাপত্তা হ্যান্ডবুক‘ যদি পাঠকের নিরাপত্তা সচেতনতাকে সামন্যতমও বৃদ্ধি করতে সমর্থ হয় সেটাই হবে নিরাপত্তা হ্যান্ডবুকের স্বার্থকতা।