নিবো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে। টানা চোখ, টিকালো নাক আর লম্বা চুলে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে মেয়েটিকে। বেশি সুন্দর লাগছে শরীরের হালকা সবুজ রঙের কারণে। যখন মেয়েটির কণ্ঠ শুনল এবং নাম জানতে পারল ‘নিলি’, তখন আরও বিস্মিত হলো সে। একজন মেয়ের কণ্ঠ এত সুন্দর হয় কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে নতুন রূপের নিলিকে দেখে চমকে উঠল নিবো। এখন আর সবুজ নয়, সোনালি। সোনালি নিলি সবুজ নিলির থেকে অনেক অনেক সুন্দর। এত সুন্দর যে শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতে, হারিয়ে যেতে দূরে অনেক দূরে, লাল, নীল কিংবা সবুজ জিজিল নামক গ্রহ-উপগ্রহে।
নিবো যখন নিলির সঙ্গে এক জিজিল থেকে অন্য জিজিলে ঘুরে বেড়াতে ব্যস্ত, তখন তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল মিমিচুন গ্রহের উন্নত বুদ্ধির রোবটেরা। তারা নিলিকে জিজিল থেকে দূরের কোনো গ্রহে পাঠিয়ে দিতে চায়, আর খুঁজে বের করতে চায় নিবোকে। কারণ জিজিল গ্রহে নিবোর বেঁচে থাাকার কোনো অধিকার নেই।
এদিকে নিবোকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠে নিলি। একটার পর একটা কৌশল অবলম্বন করতে থাকে সে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠে না। রোবটদের কাছে ফাঁস হয়ে যায় তার চতুরতা। পরিনতি, বিচ্ছেদ ঘটে নিবো আর নিলির।
শেষ পর্যন্ত কি ঘটেছিল নিবো আর নিলির জীবনে? আবার কি তারা ফিরে পেয়েছিল আনন্দ আর ভালোবাসায় ভরা জিজিলের রঙিন জীবন? নাকি তারা হারিয়ে গিয়েছিল দূর মহাশূন্যের নিকষ কালো অন্ধকারে?