লায়লার ফাঁসি হবে, ব্যাপারটা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না লায়লার স্বামী আমিন। কারণ লায়লা কোনো অপরাধ করেনি, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও নেই। নিরপরাধ একজন মানুষের ফাঁসি হবে কেন? অথচ সে জানে লায়লার ফাঁসি হবেই হবে। কারণ লায়লা যা বলে তা কখনো মিথ্যা হয় না। লায়লাকে বাঁচাতে তখন মরিয়া হয়ে উঠে আমিন। শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না পেয়ে ছুটে যায় ডাক্তার তরফদারের কাছে। লায়লা এবং আমিনের ধারণা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তা প্রথম দিনেই প্রমাণ করে দেয়ার চেষ্টা করেন ডাক্তার তরফদার। কিন্তু বাঁধ সাধে লায়লার সৃষ্ট এক সুরের গান। এই সুরের গানের উৎস খুঁজতে গিয়ে ডাক্তার তরফদার হারিয়ে যেতে থাকেন নীল জোছনার জীবন নামক রহস্যময় এক জীবনে, যে জীবন লায়লাকে ভবিষ্যৎ বলার ক্ষমতা দিয়েছে, অতীত দেখার ক্ষমতা দিয়েছে, দিয়েছে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের প্রতি তীব্র ভালোবাসা সৃষ্টির ক্ষমতা। ডাক্তার তরফদার উপলব্দি করেন লায়লার জীবন প্রবাহের গতি পৃথিবী কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত নয়, নিয়ন্ত্রিত নীল জোছনার জীবনের অদৃশ্য এক শক্তি কর্তৃক যে শক্তি ধীরে ধীরে লায়লাকে ফাঁসির দিকেই ধাবিত করছে। তারপরও হাল ছাড়েন না তিনি। নীল জোছনার জীবনের অদৃশ্য ঐ শক্তিকে থামিয়ে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু প্রত্যেকবারই ব্যর্থ হতে থাকেন তিনি। একসময় হোঁচট খেতে খেতে সত্যি হাল ছেড়ে দেন। ফাঁসির দড়ি তখন লায়লার একেবারে সামনে।
শেষ পর্যন্ত কী লায়লা বাঁচতে পেরেছিল? আর কী-ই-বা ছিল সেই নীল জোছনার জীবনের রহস্য?