নিশা আসে, নিশা যায়। কীভাবে আসে কীভাবে যায় তা আমি জানি না। তবে ও আসে, যখনই আমি কামনা করি তখনই আসে। হোক তখন সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা, দুপুর কিংবা মাঝরাত; কখনোই না নেই নিশার। আমার ডাকে সে সাড়া দেবেই। এজন্যই নিশাকে আমার এত ভালো লাগে, ভালো লাগে ওর মায়াবী রূপ-লাবণ্যকে, ভুবনভোলানো হাসিকে। একসময় অনুভব করি নিশা আমার জীবনের অনন্য এক প্রশান্তি। তাই তো আমি সময়ে অসময়ে আশ্রয় খুঁজি নিশার মাঝে। সবার অলক্ষ্যে গোপনে চলে যাই ওর কাছে। নিশা আমাকে নিরাশ করে না। পারিপার্শ্বিক অস্থিরতা আর অসুস্থতার বেড়াজল থেকে আমাকে মুক্ত করে ও আমার জীবনে নিয়ে আসে পরম প্রশান্তি, জীবনকে করে তুলে সুখী আর আনন্দময়। কিন্তু কেন যেন আশেপাশের কেউই আমার এই সুখ আনন্দকে মেনে নিতে পারে না। কারণ তাদের দৃষ্টিতে নিশা অসম্পূর্ণ, অপূর্ণ, অযোগ্য। আমার আর নিশার সম্পর্কের নাকি কোনো যৌক্তিকতা নেই, নেই কোনো বৈধতা। তাই তো সবাই উঠে পড়ে লাগে নিশার বিরুদ্ধে। নিশাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করে তারা। আর নিশার শূণ্যতা আমার দিকে ঠেলে দেয় অপূর্ব সুন্দরী নোভাকে। শুরু হয় নিশা নোভার যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত হতে থাকি আমি। একসময় অনুভব করি যুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু কে জয়ী হলো সেই যুদ্ধে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে আমি অপেক্ষা করতে থাকি মায়াবী জোছনার বসন্তের জন্য। কবে আসবে বহু আকাঙ্কিত সেই মায়াবী জোছনার বসন্ত?