লাল শাড়ি আর রহস্যময় হাসির অসাধারণ সুন্দরী মেয়েটির আঙুলগুলো যখন করিম মওলার কপাল স্পর্শ করল তখন তার সমস্ত শরীর থরথর করে করে কেঁপে উঠল। আঙুলগুলো আরও খানিকটা নিচে নামতে করিম মওলার মনে হলো মেয়েটি বুঝি তার সুচালো নখ দিয়ে তার চোখ তুলে নেবে। কিন্তু তার কপাল ভালো তেমন কিছু ঘটল না। আঙুল গুলো ধীরে ধীরে আরও নিচে নামতে লাগল। তারপর বুকের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে টেনে বের করে আনবে হৃৎপিণ্ডটা। তারপর তাজা টাটকা হৃৎপিণ্ড তার চোখের সামনেই চিবিয়ে চিবিয়ে খাবে। এ রকম ভাবতেই তার হৃদস্পন্দন কয়েকগুণ বেড়ে গেল, খাড়া হয়ে উঠল শরীরের সমস্ত লোম। ততক্ষণে মেয়েটির গলায় বুঝে থাকা ভয়ংকর ত্রিশূলটা উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হতে শুরু করেছে, লাল হতে শুরু করেছে চোখ দুটোও। এখন আর মেয়েটিকে তার অসাধারণ সুন্দরী কোনো নারী মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে সে বুঝি রক্তের তৃষ্ণায় তৃষ্ণার্ত ভয়ংকর এক পিশাচীনি।