দীর্ঘ ত্রিশ বছর গবেষণা শেষে বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত একজন প্রফেসর মানুষের কল্যাণের জন্য ঢাকা শহরে একটি অতি উচ্চ বুদ্ধিমাত্রার রোবটকে মুক্ত কর দেয়। অনুভূতি সম্পন্ন এই রোবটটির নাম রিবিট যার একমাত্র কাজ মানুষের কল্যাণ সাধন করা। মানুষের মতোই রিবিটের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, কষ্ট যন্ত্রণা-রয়েছে রয়েছে। মানুষ বিশেষ করে শিশু কিশোরদের জন্য অফুরন্ত আর সীমাহীন ভালোবাসা রিবিটের। তাইতো রিবিট মানুষের কল্যাণের জন্য ঘুরে বেড়ায় বাংলাদেশের শহর-গ্রামে, পথে-প্রান্তরে, আনাচে-কানাচে, অলিতে গলিতে।
আবির্ভাবের প্রথম রাতেই রিবিট ঢাকার রাস্তায় ডাস্টবিনের পাশে কুঁড়িয়ে পায় দুটো অসহায় সংযুক্ত যমজ মানব শিশুকে। সে বুঝতে পারে শিশু দুটো খুব অসুস্থ। ওদের চিকিৎসার জন্য অনেক অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই সে ওদের বাঁচাতে সাহায্যের জন্য ছুটে যায় মানুষের কাছে। কিন্তু বাস্তবতা যে বড় কঠিন। কেউ তাকে আশানুরূপ সাহায্য করে না। মানুষের জন্য ভালোবাসায় ভরা রিবিটের বুকটা দুঃখ, কষ্ট আর যন্ত্রণায় মুচড়ে উঠে। তারপরও সে এগিয়ে চলে, তাকে যে মানুষের কল্যাণ সাধন করতেই হবে।
শেষ পর্যন্ত রিবিট কি পেরেছিল শিশু দুটেকে বাঁচাতে?