হাইকোর্টের সামনে থেকে রিবিট ‘জীবন’ নামের পঙ্গু অর্ধমৃত এক ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এনে ভর্তি করে। জ্ঞান হারানোর আগে ছেলেটি লোমহর্ষক এক জীবনকাহিনীর কথা বলে যায় রিবিটকে। সেই জীবনকাহিনীর গভীরে ঢুকতে গিয়ে রিবিট জানতে পারে আন্ডারওয়ার্ল্ডের এক অন্ধকার জগতের কথা। অন্ধকার সেই জগতে প্রবেশ করে রিবিট বুঝতে পারে তাকে একটা ভয়ংকর ঘরের অনুসন্ধান করতে হবে। কারণ ঐ ঘরেই লোমহর্ষক কাহিনীগুলোর জন্ম হয়, ধূলিস্যাৎ করে দেয়া হয় ছোট্ট শিশুদের স্বপ্নকে, তাদের চিরতরে পঙ্গু করে ব্যবহার করা হয় লজ্জাজনক পেশায়। রিবিট মনে প্রাণে প্রতিজ্ঞা করে যেভাবেই হোক ভয়ংকর ঘরটাকে সে খুঁজে বের করবেই।
রিবিট যখন ভয়ংকর সেই ঘরটাকে খুঁজছে, ছোট্ট নাদিয়া তখন সেই ঘরে জীবন বাঁচাতে চিৎকার করে যাচ্ছে। কিন্তু তার চিৎকার শোনার মতো কেউই যে নেই। ধীরে ধীরে নাদিয়া একসময় উপলব্দি করে তার দুটো পা-ই অবশ হয়ে যাচ্ছে। সে আর কোনোদিন হাঁটতে পারবে না। শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ছুটে পালাতে গিয়েও পারে না সে। কারণ তাকে যে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। অন্ধকার সেই ঘরে তার সঙ্গী একটা ইঁদুর আর কিছু তেলাপোকা।
শেষ পর্যন্ত রিবিট কি খুঁজে পেয়েছিল নাদিয়াকে? আর কি সেই লোমহর্ষক জীবনকাহিনী যা শুনে বার বার রিবিটের শক্তিশালী প্রোগ্রামের ইলেট্রণ প্রবাহও অসম হয়ে যেত, নিজের আবেগকেও সে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত না?