ধর ধর, মার মার, ছিনতাইকারী, ছিনতাইকারী, চিৎকার শুনে রিবিট মুখ তুলে তাকাল। দেখল অল্পবয়সী এক মহিলাকে অনেকে মিলে ধাওয়া করছে। মহিলা তার জীবন বাঁচাতে প্রাণপণ সামনের দিকে ছুটছে। কিন্তু দুর্বল শরীরে শেষ পর্যন্ত সে বেশিদূর এগোতে পারল না। মুখ থুবড়ে রাস্তায় পড়ে গেল। আর তখনই শুরু হলো গণপিটুনি। রিবিট যখন মহিলাকে উদ্ধার করল ততক্ষণে গণপিটুনিতে একেবারে কাহিল হয়ে পড়েছে মহিলা। রিবিট তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে মহিলা জানাল তার নাম হেলেনা। পুলিশ হেলেনাকে নিয়ে যাওয়ার সময় সে শুধু জানাতে পারল রাস্তার পাশে পলিথিনের তাঁবুতে তার একটা মেয়ে আছে যার নাম শোভা-রিবিট যেন তাকে রক্ষা করে। রিবিট-তাবুর মধ্যে গিয়ে শোভাকে ঠিকই পেল। কিন্তু তাকে যে অবস্থায় পেল তাতে সে সত্যি খুব মর্মাহত আর বিস্মিত হলো। এক বছরের অবুঝ শিশু শোভার একটা পা দড়ি দিয়ে ইটের সাথে বাঁধা ছিল। তার থেকে ভয়ঙ্কর ব্যাপার ছিল শোভার শরীর। একেবারেই রুগ্ন, শীর্ণকায়। শোভাকে ডাক্তারের কাছে আনার পর রিবিট যা শুনল তা আরও বিস্ময়কর, আরও ভয়ঙ্কর। শোভা মাদকাসক্ত। এক বছরের একটা অবুঝ শিশু যে কিনা কথা পর্যন্ত বলতে শিখেনি সে কীভাবে মাদকাসক্ত হলো তা রিবিট বুঝতে পারল না। সম্পূর্ণ ব্যাপারটা তার কাছে ভয়ানক রহস্যময় মনে হলো। আর এই রহস্যের বেড়াজাল উন্মোচন করতে গিয়ে সে শুনতে পেল দুর্ধর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কানা জব্বারের কথা। শুরু হলো কানা জব্বারের বিরুদ্ধে রিবিটের অভিযান। কিন্তু কানা জব্বার এত সহজে হারার পাত্র না। পদে পদে নাস্তানাবুদ করতে থাকল রিবিটকে।
শেষ পর্যন্ত কি রিবিট ধরতে পেরেছিল কানা জব্বারকে? আর বাঁচাতে পেরেছিল আদর ভোলোবাসার ছোট্ট শোভাকে?