শিশির বুঝতেই পারেনি যে রেড ড্রাগন এতটা ভয়ংকর হতে পারে। রেড ড্রাগনকে ফাঁদে ফেলতে গিয়ে নিজেই আটকা পড়ে গেছে রেড ড্রাগনের ফাঁদে। এখন হাত পা বেঁধে তাকে ফেলে রেখে হয়েছে গোপন এক কক্ষের মধ্যে। আসলে কক্ষ নয়, বড় একটা কোল্ড স্টোরে। এই স্টোরের মধ্যে শুধু ইলিশ মাছ আর ইলিশ মাছ। ইলিশ মাছ বড় পছন্দের রেড ড্রাগনের। এরইমধ্যে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এভাবে তাপমাত্র কমলে একসময় জমে যাবে তার শরীর। তারপর নিশ্চিত মৃত্যু। এমনই চাচ্ছে রেড ড্রাগন। মৃত্যুর পর কী হবে তা আর ভাবতে চাচ্ছে না শিশির। এখন একমাত্র ভরসা লেলিন। লেলিন চেষ্টা করছে তাকে উদ্ধার করতে। কিন্তু যখন দেখল লেলিনও আটক হয়েছে রেড ড্রাগনের হাতে তখন একেবারেই হতাশ হয়ে পড়ল সে। হাত পা বাঁধা লেলিন তার সামনে এখন। শীতে সে নিজে যেমন কাঁপছে, একইভাবে কাঁপছে লেলিনও। মুক্তির কিংবা পালানোর কোনো সুযোগ নেই। বাইরে রেড ড্রাগন, সজাগ-সতর্ক। অপেক্ষা করছে তাদের মৃত্যু প্রহরের। এদিকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে আরো দ্রæত। মেঝেতে যে পানি ছিল তাও বরফে পরিণত হয়েছে। একটা হাত অবশ হয়ে আসছে। শক্তি পাচ্ছে না শরীরে, ঝাপসা হয়ে আসছে চোখ। বুঝতে পারছে মৃত্যু আসন্ন?
শেষ পর্যন্ত কী নিজেদের মুক্ত করতে পেরেছিল শিশির আর লেলিন? নাকি নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল ভয়ংকর রেড ড্রাগনের হাতে?
Reviews
There are no reviews yet.