শিশির আর লেলিন দুই ভাই। দুজনেই স্কুলছাত্র এবং দারুণ রহস্যপ্রিয়। তারা দুজনে মিলে ‘শিশিলিন’ নামের বিশেষ এক রহস্য সংস্থা খুলেছে। এই সংস্থার কাজ হলো নানারকম রহস্যময় ঘটনার রহস্য উন্মোচন করা। পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে রহস্যের সন্ধানে তারা ছুটে যায় দূর-দূরান্তে, পথে-প্রান্তরে, গ্রামে-গঞ্জে। তাই তো কখনো তারা গোয়েন্দা, কখনো অভিযাত্রী আবার নিজেরাই কখনো রহস্যময় মানুষ। পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরছিল লেলিন। মনটা খুব ফুরফুরে তার। আপাতত আর কোনো পরীক্ষা নেই। স্কুলও কয়েকদিন বন্ধ। তাই আগামী দিনগুলো কীভাবে কাটাবে ভাবছিল সে। রাস্তার মোড়ে আসতেই ভাবনায় ছেদ পড়ল যুবক বয়সী এক ট্যাক্সি ড্রাইভারের কান্নায়। বড় একজন মানুষকে এভাবে রাস্তার মাঝে কাঁদতে দেখে ছুটে গেল লেলিন। কাছে গিয়ে জানতে পারল কিছুক্ষণ আগে ছিনতাই হয়ে গেছে ট্যাক্সি ড্রাইভারের ট্যাক্সিটি। গ্রামের জমিজমা বিক্রি করে আর ব্যাংক লোন নিয়ে অনেক কষ্টে সে ট্যাক্সিটি কিনেছিল। এখন ট্যাক্সি হারিয়ে সে পাগলপ্রায়। লেলিন সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নেয় সাহায্য করবে ট্যাক্সি ড্রাইভারকে। তাই সে ফোন করে বড় ভাই শিশিরকে। শিশিরও সাড়া দেয় লেলিনের প্রস্তাবে। কিন্তু বাস্তবতা যে বড় কঠিন! ট্যাক্সি পড়েছে ভয়ংকর লাল গ্যাংয়ের হাতে। সেখান থেকে ট্যাক্সি উদ্ধার করা আর মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা যে একই কথা। তারপরও পিছিয়ে এলো না শিশিলিনের ক্ষুদে দুই সদস্য। শুরু হলো তাদের ট্যাক্সি উদ্ধারের লোমহর্ষক গোয়েন্দা অভিযান।