রেবা আয়নায় নিজেকে দেখতে চেষ্টা করছে। হারিকেনের আলোতে নিজেকে সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে না। তবে বুঝতে পারছে সারাদিনের ক্লান্তির ছাপটা মুখে এসেও পড়েছে। ঘুম তার এখন খুব প্রয়োজন। না চাইতেই চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। এরকম একবার চোখ বন্ধ করে খুলতেই তার মনে হলো আয়নায় সে তার পিছনে কাউকে দেখল। সাথে সাথে পিছনে ফিরে তাকাল রেবা। না কেউ নেই, কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। দেখতে পাওয়ার কথাও না। কারণ সে নিজে দরজা আটকে দিয়েছে। কারো এই ঘরে প্রবেশের প্রশ্নই আসে না। সামনে ফিরে আবার যখন সে আয়নায় তাকাল তখন আয়নার মধ্যে মানুষের অবয়বটা স্পষ্ট দেখতে পেল সে। অন্ধকারের মধ্যে থেকে মানুষের মতো দেখতে ভয়ংকর কিছু একটা তার দিকে এগিয়ে আসছে। রেবা বুঝতে পারল সে কি ভয়ানক বিপদেই না পড়তে যাচ্ছে। শরীরের সমস্ত শক্তিতে চিৎকার করে উঠার চেষ্টা করল সে। কিন্তু পারল না। তার আগেই শক্ত একটা হাত চেপে বসল তার মুখের উপর। রেবা নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করল। কিন্তু পারল না, কারণ যে তাকে ধরে আছে তার শরীরের অসুরের মতো শক্তি।
রেবার ক্ষতবিক্ষত লাশটা পাওয়া গেল একদিন পর। কী ঘটেছিল রেবার জীবনে?