লো, টম আর নিমি টাইম মেশিনের মাধ্যমে নরেন্দ্র জমিদারের যুগে এসে পৌঁছায়। জমিদারের প্রতি গ্রামবাসীদের ভালোবাসা দেখে। মুগ্ধ হয় তারা। কিন্তু জানতে পারে বড় বিপদে আছেন জমিদার নরেন্দ্র। বৃটিশরা তার পিছু লেগেছে। তাকে যে কোনো সময় হত্যা করতে পারে। ঘটনাক্রমে জমিদারের সাথে দুপুরে খাবার খাওয়ার সুযোগ পেয়ে যায় লো। খেতে বসে জানতে পারে জমিদার নরেন্দ্রর দাদা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে জমিদারের মৃত্যু ফাঁসিতে হবে। এই ফাঁসি রোধে উঠে পড়ে লাগে লো, টম আর নিমি। সাথে রয়েছে। তীরন্দাজ হাসান। কিন্তু ভাগ্য যে বড় নিষ্ঠুর। হঠাই বৃটিশ সৈন্যের হাতে বন্দি হন জমিদার নরেন্দ্র। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নতুন এক গ্রামে। সেখানে তাকে ফাঁসির মঞ্চেও তোলা হয়। হাসানও নেই যে সাহায্য করবে। কারণ তার নিথর দেহটি পড়ে আছে উম্মুক্ত প্রাঙ্গণে। জল্লাদ যে কোনো মুহূর্তে টান দিতে পারে ফাঁসির দড়ি। আশেপাশের সবাই চাচ্ছে যেন জমিদার নরেন্দ্রের ফাঁসি না হয়। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসছে না। লো অবশ্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যেভাবেই হোক সে বাঁচাবে নরেন্দ্র জমিদারকে। কিন্তু কীভাবে সে দাঁড়াবে বৃটিশ সৈন্যদের বন্দুকের সামনে? আর কীভাবেই বা রক্ষা করবে সকলের প্রিয় নরেন্দ্র জমিদারকে? শেষ পর্যন্ত কী লো বাঁচাতে পেরেছিল জমিদার নরেন্দ্রকে?