স্যান্ডেল চুরি হয়ে গেছে শিশিরের। চোর ধরতে গিয়ে শিশিলিনের ক্ষুদে দুই গোয়েন্দা সন্ধান পেল জুতা মফিজের, যে কিনা শুধু জুতা চুরি করে। জুতা মফিজের অনুসন্ধানে তারা যখন মাঠে, তখন বুঝল স্যান্ডেল চুরি করেছে লালু। লালুর পিছনে ছুটে শিশির আর লেলিন পৌঁছাল ঢাকা মেডিকেল কলেজে। কিন্তু বেশিক্ষণ সেখানে থাকতে পারল না। কারণ ভয়ংকর পরিকল্পনা করেছে জুতা মফিজ। পরিকল্পনাটা জানানো হলো পুলিশকে। কিন্তু পুলিশ আর শিশিলিন মিলে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো পরিকল্পনা ঠেকাতে। ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটেই গেল। জুতা মফিজ যে শুধু জুতা চোর না, তা বুঝতে পারল সবাই। এদিকে চোরাই স্যান্ডেল আর জুতার সন্ধান পেয়ে গেছে শিশির আর লেলিন। বিস্ময়ের ব্যাপার চোর নিজেই ফেরত দিয়ে গেছে সবকিছু। সমীকরণ যেন মিলছে না! এদিকে জুতা মফিজ আর তার দলকে ধরতে গিয়ে চোরা কুঠুরীতে বন্দি হয়ে গেল শিশির আর লেলিন। শক্তভাবে বেঁধে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে তাদের। ভয়ংকর দুস্কৃতিকারীরা কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের গলা কেটে নর্দমায় ফেলে দেবে। কারণ তারা ওদের গোপন আস্তানার অনেক খবর জেনে গেছে। বাঁচার জন্য ছটফট করছে শিশির আর লেলিন। কিন্তু কে তাদের বাঁচাবে? তাদের অবস্থান যে কেউ জানে না। সত্যি একসময় সেই ভয়ংকর মুহূর্ত এলো। এখন হত্যা করা হবে লেলিনকে। এগিয়ে আসছে চাপাতি হাতে একজন!
শেষ পর্যন্ত শিশির আর লেলিন কী রক্ষা করতে পেরেছিল নিজেদের? নাকি করুন মৃত্যু হয়েছিল তাদের? আর কী ঘটেছিল ভয়ংকর জুতা মফিজ আর লালু চোরের ভাগ্যে?