বাড়ির ডোবার মধ্যে থেকে উঠানো হয়েছে পুরাতন এক কফিন। উপরের ঢাকনা খুলতে বিস্মিত হলো সাদিক। অপূর্ব সুন্দরী এক মেয়ে শুয়ে আছে কফিনের ভিতর, দৃষ্টি তার দিকে। কিছু একটা যেন বললও তাকে। অনেকদিন পানিতে ডুবে থাকা কফিনের মধ্যে একটি মেয়ে জীবিত থাকে কীভাবে, তা সে ঠিক বুঝে উঠতে পারল না। পুলিশ এসে লাশ নিয়ে গেল, পোস্ট মর্টেম হলো মর্গে। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার, মেয়েটি সাদিকের বাড়িতে এসে হাজির হলো সন্ধ্যার পর। নাম বলল তানিয়া। জানালো, সে এক ছায়াআত্মা। এখন থেকে থাকবে সাদিকেরই বাড়িতেই। সাদিক রাজি হলো না। কিন্তু সে বুঝতে পারল সাদা শাড়ি পরা অপূর্ব সুন্দর তানিয়া ধীরে ধীরে ভালোবাসার আবেশে সম্মোহিত করে ফেলছে তাকে। সে যতই দূরে সরে যেতে চাচ্ছে, ততই যেন কাছে টেনে নিচ্ছে। একসময় সাদিক অনুধাবন করল, চাইলেও সে তানিয়ার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে পারছে না। কারণ তানিয়ার রয়েছে অশরীরীয় ক্ষমতা। আর সেই ক্ষমতার বলে একজনের পর একজনকে নির্মম নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে চলছে তানিয়া। তাহলে পরবর্তী টার্গেট কে? ভাবতেই মাথা গুলিয়ে উঠতে থাকে সাদিকের। অনুধাবন করে তাকে নিয়ে তানিয়া হয়তো গভীর ষড়যন্ত্র করছে, আর সেই ষড়যন্ত্রের বলি হবে সে!
শেষ পর্যন্ত কী সাদিক নিজেকে মুক্ত করতে পেরেছিল তানিয়ার সম্মোহনী শক্তি থেকে? আর কে ছিল তানিয়া? পরিশেষে কী ঘটেছিল তানিয়া নামক ছায়াআত্মার ভাগ্যে?
এক ঝড়ের রাতে মিরাজের বাসায় উপস্থিত হয় অপূর্ব সুন্দরী দিশা। মানবিকতার খাতিরে দিশাকে রাতে থাকতে দিতে সম্মত হয় মিরাজ। দিশার হাতের রান্না খেয়ে তার ভক্ত হয়ে যায় মিরাজ। দিশার সাংসারিক নানাগুনে ধীরে ধীরে মোহিত হতে থাকে সে। সম্পর্কটা যখন ভালোলাগা থেকে ভালোবাসার দিকে এগোতে থাকে তখনই মিরাজ জানতে পারে দিশাকে পছন্দ করে অশরীরীয় শক্তির অধিকারী মৃত্যুবাড়ির ভয়ংকর কালাবাবা। মৃত্যুবাড়িতে প্রবেশ করলে রক্তপানে হয় কালাবাবার ভক্ত হতে হয়, নতুবা মৃত্যুবরণ করতে হয়। খুব কম সংখ্যক মানুষই আছে ফিরে আসতে পেরেছে মৃত্যুবাড়ি থেকে। এদিকে কালাবাবা নির্দেশ দিয়েছে দিশাকে মৃত্যুবাড়িতে যাওয়ার জন্য। দিশা যেতে চায় না। মিরাজও মরিয়া হয়ে উঠে দিশাকে রক্ষা করতে। কিন্তু কালাবাবার অশরীরীয় শক্তির সাথে সে পেরে উঠে না। দিশাকে সে মৃত্যুবাড়িতে নিবেই। সেক্ষেত্রে দিশাকে চিরতরে হারাতে হবে। কিন্তু মিরাজ তা হতে দেবে না। তাই উঠে পড়ে লাগে সে। কিন্তু একসময় বুঝতে পারে সে নিজেই বন্দি কালাবাবার হাতে। আর এখন কালাবাবা তার রক্তপান করে উদযাপন করবে রক্তউৎসব।
শেষ পর্যন্ত কী মুক্তি পেয়েছিল মিরাজ? নাকি তাকে বলি হতে হয়েছিল রক্তউৎসবের আনুষ্ঠিকতায়? আর কী ঘটেছিল অপূর্ব সুন্দরী দিশার জীবনে?
পৃথিবীর প্রথম মানব ক্লোনের নাম নিলিন। তৈরি করেছেন প্রফেসর রহমান, বাংলাদেশেই। সম্পূর্ণ প্রজেক্টটি ছিল অতি গোপনীয়। প্রজেক্টটিতে অর্থায়ন করেছে ডিডিলিন নামক এক বিদেশি ওষুধ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। উনিশ বছর বয়সি সোনালি সবুজ চুলের অপূর্ব সুন্দর নিলিনকে সবার সম্মুখে উন্মোচন করার আগেই ডিডিলিন কোম্পানি দাবি করে বসে নিলিনকে তাদের নিকট হস্তান্তর করতে হবে এবং আরো জানায় নিলিনের উপর তারা গবেষণা করবে। রাজি হন না প্রফেসর রহমান, ডিডিলিনকে বুঝাতে চেষ্টা করেন যে নিলিন ‘মানুষ’। কিন্তু ডিডিলিন কর্তৃপক্ষ রাজি নয়, নিলিনকে তাদের চাই-ই-চাই। নিলিনের উপর গবেষণা করে এক নিলিন থেকে হাজার হাজার নিলিন তৈরি করবে তারা। তারপর তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করবে পৃথিবীর মানুষের কাছে। পুরো বিষয়টা ব্যবসায়িক। প্রফেসর রহমান রাজি না হওয়ায় ডিডিলিন দুজন সিক্রেট এজেন্টকে দায়িত্ব দেয় নিলিনকে পাচার করে বাংলাদেশের বাইরে এনে ডিডিলিনের গবেষণাগারে পৌঁছে দেয়ার জন্য। মিশনের প্রথম পর্বে তারা অপহরণ করে প্রফেসর রহমানকে। কিন্তু হাতছাড়া হয়ে যায় নিলিন। ইনকিউবেটর থেকে বের হয়ে নিলিন এখন ঢাকার রাস্তায়, অলি-গলিতে। সবকিছুই অপরিচিত তার। ঘটনাক্রমে তার সাথে পরিচয় হয় নিরবের। নিরব বুঝতে পারে নিলিন সাধারণ কোনো মানুষ নয়। নিলিনের অবিশ^াস্য সব ক্ষমতা রয়েছে। একটি ক্ষমতা হলো সে ভবিষ্যৎ দেখতে পারে। আর তাছাড়া রয়েছে তার সুন্দর, কোমল আর নিষ্পাপ ভালোবাসায় ভরা একটা মন। সেই ভালোবাসার মনে নিরব যখন হারিয়ে যাচ্ছে তখনই নিয়োগপ্রাপ্ত এজেন্টরা অপহরণ করতে সমর্থ হয় নিলিনকে। নিলিন এখন গোপন গবেষণাগারে, শুরু হতে যাচ্ছে তার উপর গা শিউরে ওঠা ভয়ংকর সব গবেষণা।
শেষ পর্যন্ত কী নিলিনকে বাঁচাতে পেরেছিল নিরব!
‘যাত্রা’ দেখতে গিয়ে লেলিনের সাথে পরিচয় হয় যাত্রাপালার সেনাপতি জব্বার খিলজির মেয়ে সবুজ চোখের আসমার সাথে। কথাপ্রসঙ্গে জানতে পারে জব্বার খিলজির কাছে একটা রুপার সিন্দুক আছে যেখানে রয়েছে অনেক হীরা জহরত। জব্বার খিলজি তার পূর্বপুরুষের কাছ থেকে পেয়েছে রুপার সিন্দুকটি। একমাত্র বিপদগ্রস্ত হলে ঐ সিন্দুক থেকে হীরা জহরত বের করে বিক্রি করা যাবে। জব্বার খিলজি অসুস্থ হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রুপার সিন্দুকটি ভাঙা হবে, কারণ চাবিটি আগেই হারিয়ে গিয়েছিল। তাই দিন ক্ষণ ঠিক হয় রুপার সিন্দুক ভাঙার। সবার মধ্যে তীব্র আগ্রহ জন্মে ঐ রুপার সিন্দুককে কেন্দ্র করে, সবাই দেখতে চায় অমূল্য হীরা, জহরত আর অলংকারাদি। আগ্রহী হয়ে ওঠে শিশির লেলিনও। সিন্দুক ভাঙার সময় দুজনেই উপস্থিত থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু রাতের অন্ধকারে আচমকাই চুরি হয়ে যায় ঐতিহাসিক গুরুত্ববহনকারী মহামূল্যবান রুপার সিন্দুকটি। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়, সিন্দুক উদ্ধারে ততক্ষণে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শিশির আর লেলিন।
শেষ পর্যন্ত কি শিশিলিনের ক্ষুদে গোয়েন্দারা উদ্ধার করতে পেরেছিল মহামূল্যবান রুপার সিন্দুক? আর ঐ সিন্দুকে কি আদৌ কোনো হীরা জহরত ছিল? নাকি সবকিছুই ছিল নিছক এক শূন্যতা আর গোলকধাঁধা!
জোছনারাতে মানুষের একটি ছায়া থাকে। কিন্তু ইলার ক্ষেত্রে বিষয়টি ব্যতিক্রম। জোছনারাতে ইলার থাকে দুটি ছায়া। তাও একটি পুরুষের এবং একটি নারীর। ইলার এই দুই ছায়ার...
ভয়ানক এক মহাকাশ-দুর্ঘটনায় স্কাউটশিপ ফ্লিটি এসে পড়ে সম্পূর্ণ নতুন এক গ্রহে। দুর্ঘটনার তীব্রতায় ফ্লিটির সবাই মারা গেলেও বেঁচে থাকে শুধু দশমাস বয়সের এক মানবশিশু ’অডিন’।...