মাহিন আর মাইশা প্রেম করে বিয়ে করেছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে মাইশার আচার আচরণে অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেতে থাকে। কারণ জিজ্ঞেস করলে জানায়, তার মধ্যে অশরীরী কোনো আত্মা আছে যে তাকে নিয়ন্ত্রণ করে, প্রভাবিত করে। ব্যাপারটা বিশ্বাস করতে না চাইলেও মাইশার নানা অনাকাঙ্খিত আচরণ তা প্রকাশ পেতে থাকে। মাইশা নিজের চুল নিজেই এলোমেলো করে ফেলে, রাতে বিড় বিড় করে কথা বলে, আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, এটা ওটা ভেঙ্গে ফেলে, এমন কী একে ওকে চড় থাপ্পড়ও মেরে বসে। দেখলে মনে হবে সে বুঝি পাগল! সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, অশরীরী আত্মাটা গোপনে মাইশার নিকট তার ভালোবাসার অভিপ্রায়ের কথা প্রকাশ করে। মাইশা রাজি না হলে তাকে ভয়ংকর পরিণতি বরণ করতে হবে বলেও শাসায়। মাইশা একসময় উপলব্দি করে সত্যি আত্মাটা তার ক্ষতি করবে, অপূরণীয় ক্ষতি! কারণ সে যে আর পেরে উঠছে না অজানা অচেনা আত্মার সাথে!
মাইশাকে বাঁচাতে উঠে পড়ে লাগে মাহিন। কারণ সে জানে মাইশা খুব সাধারণ এক মেয়ে। ঘটনাক্রমে তার সাথে পরিচয় হয় প্যারাসাইকোলজিক্যাল ইনভেস্টিগেটর ডাক্তার তরফদারের। ডাক্তার তরফদারও বিশ্বাস করেন না অশরীরী আত্মার অস্তিত্ব। তাহলে কী হয়েছে মাইশার! কীভাবে বাঁচাবেন মাইশাকে! নাকি শেষ পর্যন্ত মাইশাকে পরাজিত হতে হবে অশরীরী আত্মার অযৌক্তকি ইচ্ছার কাছে!
Reviews
There are no reviews yet.